বৈজ্ঞানিক নাম Triticum dicoccum-‘প্রথম গম’- হিসেবে তৎকালে প্রাচ্য দেশে এটাই একমাত্র প্রচলিত জাত ছিল । এখনও মিশর ও তার আশ-পাশ দেশ সমুহের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে, ইতালি ও রাশিয়ায় চাষাবাদ ব্যাপক ভাবে চলমান । আধুনিক গমের বুনো-আত্নীয় হেতু যে কোন দুর্বল মাটিতেও একটু ‘জো’(নরমসুলভ) পেলেই শীতকালে খুব সহজেই জন্মে । ছত্রাক জনিত রোগ প্রতিরোধী । আশির দশকের দিকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষও গমের আটা লজ্জায় নিজে নয় বরং চাকরকে দিয়ে ক্রয় করাত, কারন কেউ দেখে ফেললে মনে করবে ‘ঘরের ধানের ভাত’ শেষ হয়েছে হয়ত । অথচ আজ ডায়াবেটিসের যুগে আটা নয় বরং গমের ছাঁল সমেত ‘লাল আটা’ গর্বের সাথে খোজা হয় ।
খুঁজতেছিলাম আমরাও, বড় ঘটা করে এই আদম গমের জাতকে । পরিশেষে এক মার্কিন প্রবাসীর মাধ্যমে প্রায় ৫০ গ্রামের একটি প্যাকেট পেলাম ঠিকই-শুংখোঁসা সহ পোকা-খেকো জরাজীর্ণ অবস্থা । তা থেকে ৫০% বপন করে গাছ গজালো- দু’টো । এক নিড়ানী শ্রমিক চিনতে না পেরে ঘাস ভেবে তুলে খাইয়ে দিল তার ছাগলকে । পরের ৫০% এর ৫ টি গাছ থেকে ‘আদম গম’ এখন আপনার দ্বারে কড়া নাড়ছে ।