বৈজ্ঞানিক নাম Canna indica-সেই সুবাদে ‘ক্যানা’ হলো কলাবতীর বাণিজ্যিক নাম আর lndica প্রজাতি নামটি ভারত বা ইন্ডিয়ার দিকে ইঙ্গিত করলেও ইহা ভারতের স্থানীয় নয় বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ( ইস্ট ইন্ডিজ মূলত মালয় দ্বীপপুঞ্জ বা বৃহত্তর অর্থে ভারত )-এই ভুল নামটিই আজ প্রচলিত । আবার Indian shoot হলো কলাবতীর ভারতীয় ইংরেজী নাম; ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের সময় বুলেট ফুরিয়ে গেলে সৈন্যরা তাদের শটগানে এর বীজ ব্যবহার করেছিল । অধুনা কলাবতী নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী ত্রিলোকী নাথ আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ রুপে গুনে মুগ্ধ হয়ে মন জয় করা কলাবতীর নাম দেন সর্বজয়া । দেখতে ছোট্ট কলাগাছের ন্যায় তাই সাধারন নাম-কলাবতী যার ফুল দেখতে সত্যিই অসাধারন । আদা-হলুদ ও শটি গাছের সাথে রয়েছে কলাবতীর ঘণিষ্ঠ আত্মীয়তার সম্পর্ক । কলাবতী যে কোনও পরিবেশে বেশ স্বাচ্ছন্দে বেড়ে উঠতে পারে । কলাবতীর স্টার্চি মূল ভক্ষনযোগ্য ও তা থেকে কাপড়ে মাড় দেয়ার অ্যারারুট তৈরি হতে পারে । এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর ভেষজ গুণ । কলাবতীর বীজ দ্বারা ধর্মীয় তসবিহ, বাচ্চাদের খেলনা, মহিলাদের গহনা ও আরও বিভিন্ন দ্রব্যাদি তৈরি হতে পারে । (আরও বিস্তারিত জানার জন্য অন্যান্য জাতগুলো সম্পর্কেও জানুন) ।