নারী বান্ধব থাই ধুন্দল:
কামনায়-
নারী জাতির মঙ্গল-
মোরা ধন্য হেতু ধুন্দল
ধুন্দলের বাঁধা-ধরা হীন উপকারিতা
# নবজাতকের খাদ্য ঘাটতি:
যেহেতু মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই কাজেই একদম নবজাতক শিশুর খাদ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে সদ্যপ্রসূতী মায়ের অন্তত: প্রথম ১ সপ্তাহ নিয়মিত রাতের খাবার মেনুতে ধুন্দল থাকা চাই ।
# বুকের দুধ আটকে যাওয়া:
সন্তান জন্মদানের পরপরই বুকের দুধ আটকে যাওয়ার মত প্রাথমিক সমস্যার ক্ষেত্রে মাকে নিয়মিত ক’দিন কচি ধুন্দলের স্যুপ খাওয়ানো । পরিষ্কার/ফিল্টারকৃত পর্যাপ্ত পানিতে হালকা লবণসহ কচি ধুন্দল রান্না করে পানির পরিবর্তে পান করা ও বুকে ম্যাসেজ করা যেতে পারে ।
# কঠিন কোষ্ঠকাঠিন্য:
গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানের সময় মহিলাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সাধারণ একটি ঘটনা । ৩০ গ্রাম ফুল সমেত ফুটানো পানি দিনে একবার পান করলে দ্রুত ও নিরাপদ ফলাফল বয়ে আনে; এমনকি হেমোরয়েডস দ্বারা সৃষ্ট রক্তাক্ত মলের ক্ষেত্রেও ।
# অধিক ঋতুচক্র ও পেট ব্যথা:
অধিক ঋতুচক্র ও মহিলাদের সে সময়ে প্রায়ই পেট ব্যথা হলে তা কাটিয়ে উঠতে ভেষজ প্রতিকার হিসাবে কঁচি ধুন্দলের স্যুপ একটি প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী সব্জী ।
যা পুষ্টি হিসেবে মায়ের শরীরের জন্যও ভালো দুগ্ধজাত শিশুর বিকাশের জন্যও ভালো।
# ধুন্দল জল:
ত্বকের যত্নে ধুন্দল জল অত্যন্ত কার্যকর একটি প্রসাধনী । সব্জী হিসেবে ধুন্দল সংগ্রহের শেষ পর্যায়ে ভূমি বা শিকড় থেকে ২ ফুট দূরত্বে ধুন্দল গাছের কাণ্ড কেটে ফেলুন । তারপর গাছের নীচের অংশ থেকে যে পানি জল বেরিয়ে আসে তা একটি পাত্রে সংগ্রহ করুন। এই পানি ধীরে ধীরে ব্যবহার করার জন্য ফ্রিজে রাখুন । মাঝে মাঝে এই ধুন্দল জল ত্বকে মেখে প্রায় ৩০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন ।
# অসাধারণ রক্ত পরিশোধক:
অনন্য এই সব্জী ব্লাড ফিল্টার ও শুদ্ধি গুণাবলীর জন্য স্বীকৃত । বিষমুক্ত রক্ত ও অ্যালকোহলের নেশা থেকে রেহাই পেতে প্রায়শই প্রচুর ধুন্দল খাওয়ার বাধ্যতামূলক অভ্যাস করা দরকার ।
# জন্ডিসের প্রাকৃতিক প্রতিকার:
জন্ডিসের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ধুন্দল জুস (আস্ত ধুন্দল থেঁতলিয়ে পরিষ্কার সুতী কাপড়ে চেপে) ব্যবহার করা হয় ।