আনাড়ী হাতে কিছু বীজ বের করলেন । রেখে দিলেন বড় স্ব-যত্নে টিস্যু জড়িয়ে । দেশে এসে বেচারা বেমালুম ভুলে গেলেন । ব্যাগে ব্যবহৃত টিস্যু দেখে উম্মে ইরফান ভ্রু-কুঁচকে দ্রুত ছুড়ে মারলেন কাছাকাছি জানালার কোন এক কর্ণার দিয়ে । ক’দিন পর টমেটো মিউজিয়ামের ফোন পেয়ে শঙ্কা ও ফুর্তিতে হাত ব্যাগ হাতড়িয়ে শুরু হয়ে গেলো-মহা খোঁজা-খুঁজি, হাঁক-ডাক ; চিল্লা-পাল্লা । পরিশেষে পার্শ্ববর্তী এক ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা হল পরিত্যাক্ত সেই টিস্যু । পরিচ্ছন্ন-কর্মীর হাত ফসকে ভাগ্যিস সেখানেই পড়েছিল । পুরো টিস্যু পাঠানো হলো টমেটো মিউজিয়ামের ঠিকানা বরাবর । সকল নষ্টাংশ বাদ দিয়ে পাওয়া গেল মাত্র ছ’টি বীজ । ছিঁড়ে ছিঁড়ে টিস্যুসহ বপন করা হলো-সবগুলো । তারপর তা থেকে ছ’টি জেনারেশন বা অর্ধযুগ অবধি বাছাই পর্ব পার করে-আজকের এই জাত ।
নি:সন্দেহে সেরা ও সুমিষ্ট । উজ্জ্বল চকচকে ছোট ছোট মার্বেলাকার টমেটো । গোল গোল টমেটো থোকায় থোকায় শোভাময়, মধ্যম লম্বাটে গাছের প্রতি পর্বসন্ধিতে । গাছ লাগিয়ে হাঙ্গেরী তথা বৈদেশিক চেরী টমেটোর স্বাদ নিন বাংলাদেশে বসে । সুপাকা টমেটো একবার খেলে,গল্পটি শোনাতে বাধ্য হবেন বন্ধুমহলে ।