শোভা বাড়াতে দোপাটি:
মনে পড়ে
কবিতার সেই কথাটি-
`দিলেম তোমায় দোপাটি
-সাঁজিয়ে নাও খোপাটি'
যদিও কোরিয়ান মেয়েরা তাদের কানে ঝুলিয়ে রাখে ঝুমকা বানিয়ে । পাপড়িগুলো দেখতে মহিলাদের চপ্পলের ন্যায় তাই দোপাটি ফুলকে Lady Slipper বলা হয় । মহিলারা চুলের রঙ ও স্বাস্থ বৃদ্ধিকল্পে দোপাটি ফুলের নির্যাস মাথায় মেখে থাকে ।
মেহেদী লাগানোর নিয়ম:
প্রথমে আপনার নখ পরিষ্কার করুন । মাঝ বয়সী কিছু পাতা ও ক’টি ফুল পিষে হাত-পায়ের নখে কটন বার দ্বারা ১ রাত প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন । রঙ আরও গাঢ় চাইলে ২ বা ৩ বার লাগান । মিশ্রণ স্থিতিশীল করতে অল্প ভিনেগার, হালকা লবনের ছিটা ও কিছু ফিটকিরিগুড়ো যোগ হতে পারে ।
মেহেদী রাঙা দোপাটি সম্পর্কে প্রাচীন কেরিয়ান দৈত লোককাহিনী অনুসারে-
দ্বাদশ শতাব্দীতে ( যখন কোন রাসায়নিক প্রসাধনী ছিল না ) রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে কেরিয়ান রাজা চুংসিওন চীনে রাজবন্দী হন । এক রাতে তিনি স্বপ্ন দেখেন-পরীর ন্যায় ফুটফুটে একটি মেয়ে যে কিনা খুবই পারদর্শীতার সাথে হাত-মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে সুরালো যন্ত্রখেলার মাধ্যমে রাজার কোরিয়া ফেরতে নিরাপত্তা কামনা করছে । অত্যন্ত মুগ্ধ হয়ে রাজা মেয়েটির হাত নাচানো লক্ষ্য করতে গিয়ে দেখলেন তার আঙুলের মাথা রক্ত মাখা আর সে গাছের পাতা ও ফুল দ্বারা তা মোছার চেষ্টা করছে । ঘুম থেকে জাগ্রত হয়েই রাজা মেয়েটিকে খোঁজা শুরু করলেন অবশেষে তিনি চীনা রাজ্যে কেরিয়ান একটি মেয়েকে খুঁজে পেলেন যার প্রতিটি আঙ্গুল ন্যাকড়া জাতীয় সাদা কাপড়ে মোড়ানো ছিল । মেয়েটির ব্যাখ্যায় পরে রাজা জানতে পারেন যে স্বপ্নে তিনি যে রক্তের ন্যায় দেখেছিলেন তা ছিল দোপাটির পাতা ও ফুলের রস যদ্বারা মেয়েটি তার নখ রাঙিয়েছিল ।
পরে রাজা চীনা বন্দিদশা থেকে মুক্তি লাভ করে স্বীয় কোরিয়ান সিংহাসনে আরোহণ করেই মহৎ মেয়েটির খোঁজ নেন কিন্তু ততক্ষনে মেয়েটি মারা গিয়েছিল । মেয়েটির সম্মানার্থে রাজা তার রাজ প্রাসাদের দু’পাশে কমলা/নানা রঙের এক প্রজাতির ফুল বীজ বপন করেন-এই সেই দোপাটি ফুল; মেহেদী রাঙা কোরিয়ান দোপাটি ফুল-সেই থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে ।