বোঁটাসহ বাটি শাক
বাবাঁধাকপিরই স্বাদ !
এই চীনা শাককে হয়ত আমরা সবাই চিনি না কিন্তু এর স্বাদ পরিচিত বাবাঁধাকপির ন্যায় । বাটি শাককে (Brassica rapa var. chinensis) বক চোই (Bok choi), চাইনিজ সরিষা, চামচ বাঁধাকপি এবং চৈনিক ম্যান্ডারিন ভাষায় সবুজ সব্জী বলা হয় ।
সুপার ফুড হিসেবে বাটিশাক চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ তথা প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন-ভিটামিন-মিনারেল- ক্যালসিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ কিন্তু ক্যালরি কম আবার আমাদের পেট নামক বাটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা রাখে । কাজেই ডায়াবেটিস সমস্যা-হাড় ক্ষয় রোধ ও যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন তারা ছোট বাটির ১ বাটি করে বাটি শাক প্রায়শই খাওয়ার চেষ্টা করুন । দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে । বিস্ময়কর এই শাকটিতে কোলেস্টেরল মাত্রা-শূন্য ।
বীজ বপনের দুই মাসের মধ্যে ফসল তোলা যায় । গাছ একবারে বা ধাপে ধাপে পাতা-চামচ তুলে খাওয়া যেতে পারে । বাটি শাক কাঁচা খেতে না পারলেও অল্প সিদ্ধ করলে স্বাদ একটু কম (ব্যক্তি বিশেষে) পুষ্টি বেশী । পালংশাকের চেয়ে বাটি শাক বেশী পুষ্টির দাবি রাখে । ৩-৪ দিন ফ্রিজে সংরক্ষিত হতে পারে । রোগ-পোকা-পরিশ্রম-খরচাদি সবই কম হওয়ায় বাটি শাকের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে । ৫ম শতাব্দীতে চীনে প্রবর্তিত হয়ে অদ্যোবধি চাষ চলছে ।