ফুল হয় গাছের ডালে
ফল হয় মাটির তলে
বিষয়টা কি তাহলে ?
বলছি এবার খুলে! কেন বাদাম হয় চরাঞ্চলে! কেন মাটি লাগে বেঁলে। বড় মজার বিষয় জড়িত রয়েছে বাদামের সহিত। আমরা জানি ফুল থেকে ফল হয় আর বাদাম কোন মূল জাতীয় ফসল নয়। আসলে পরাগায়নের পর ফুলের পাপড়ি ঝরে গেলে বোটা অধিকতর লম্বা হয়ে স্ফীত হতে থাকা অপরিপক্ক গর্ভাশয় এক পর্যায়ে বালি মাটিতে ঢুকে পড়ে। পুরো পদ্ধতিকে Pegging বলা হয়। বালিবিহীন মাটিতে ঢুকতে না পারলে গর্ভপাত ঘটে নষ্ট হয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যে বাদামকে ‘Monkey Nut’ বলা হয়ে থাকে। বৃটীশ জনগন থেকে প্রায় সকলেই চিড়িয়াখানায় বানরের খোসা ভেঙ্গে বাদাম খাওয়াকে বেশ মজা করে উপভোগ করে থাকেন । সুমিষ্ট স্বাদযুক্ত-বেশ সহজে জন্মে।
বাদাম একটি ঔষধী জাতীয় গাছ। বাদাম খেলে তাৎক্ষণিক ক্ষুধা কমে। প্রতিদিন একবাটি বাদাম খেলে কোনদিন হাড়-ক্ষয়ের আশঙ্কা থাকবে না। বাদাম খেলে স্মরনশক্তি অটুট থাকে আর তাই তো পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম করে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বাদামে রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্রনিক ও ক্যান্সার রোধ করে এবং বয়স কমায়। যদিও চীনাবাদাম হচ্ছে সয়াবিনের পর সর্বাপেক্ষা বেশী তেল প্রদায়ী ফসল কিন্তু এক মুঠো বাদাম খেলে শরীরে মাত্র ১৬১ ক্যালরি প্রবেশ করে কাজেই এতে ওজন বেড়ে যাবার কোন ভয় নেই। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে স্বাভাবিকভাবে কমতে থাকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা তথা হৃদরোগের আশঙ্কা । বাদামে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেও বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৫-৩৮ শতাংশ কমে যায়।