বৈজ্ঞানিক নাম Pachyrhizus tuberosus-Fabaceae পরিবার ভুক্ত । ইংরেজিতে Yam bean বলা হয় খোসা সাদাটে বাদামী (ভেতরটা সাদা) আর স্বাদ যেনো বাদাম ও নাশপাতির ক্রস । রসালো ও কঁচকঁচে-কুঁড়কুঁড়ে-মুঁড়মুঁড়ে । শীতে স্বাদু পানির সম্যক বিকল্প । ইহা চর্বিমুক্ত ও আঁশযুক্ত উন্নত মানের পানীয়(>৯০%) খাবার । এর আঁশ হজমে সহায়তা করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । প্রচুর শর্করা, ভিটামিন সি-ই, আমিষ ও ক্যালসিাম সমৃদ্ধ যা স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাওয়াই দরকার । পরিমিত সুমিষ্ট হেতু শাকালুর প্রতি ডায়াবেটিসওয়ালাদের সুদৃষ্টি সব সময়ই থাকে ।
আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা হলেও বর্তমানে পুরো পৃথিবী জুড়ে এমনকি সমুদ্র সমতল থেকে ৫০০ মিটার উচুতেও জন্মায় । চাষে কোনো ঝামেলা নেই । কিছুটা বেলে-দোঁয়াশ যুক্ত মাটি হলেই ছাদেও জন্মানো বড় সহজ । অন্য ফসলের সাথেও চাষ করা যায় । গাছ ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে । একটি গাছে ২ বা ততোধিক আলু হয় । একবার বীজ বুনে মোথা রেখে দিলে পরের বছর আবারও গাছ হয় । গরমের শুরু থেকে বীজ বপন শুরু করা যেতে পারে । ছায়া বিহীন বেলকোনী বা বেড়া বা হালকা মাচা হলে ভালো । পাতা ও ফুল বেশি হলে তা কমিয়ে ফেলতে হবে । শাকালুর নিজের শরীরেই রয়েছে প্রকৃতি থেকে প্রয়োজনীয় সার (নাইট্রোজেন) সংগ্রহ ও রোগ-পোকা তাড়ানোর (রোটেনন) উপাদান ।