১৮২৩ সালে ১৯ বছর বয়সী নাতি জেএম থরবার্নকে জনৈক ব্রিডার একদা একটি পাকা টমেটো গিফ্ট করলেন । যেহেতু উপহারের টমেটো-সত্যিই দেখার মতো । হালকা থেকে গাঢ় ইট কালারের (মেটে-তামাটে-কমলা) কাগুজে ত্বক বিশিষ্ট ।
তিনি যখন সেই টমেটোকে প্রস্থ বরাবর কাটলেন-
ভিতরের অবস্থা লক্ষ্য করলেন-অন্য যে কোনও টমেটো থেকে আলাদা ।
টমেটোর বহি:ত্বক ও নীচের মাংসল শাঁসের মধ্যকার বৈসাদৃশ্য যা গোলাপী কেন্দ্রসহ অনন্য এক রঙ প্রদান করে । বেশ সীমিত বীজ-অভ্যন্তরীণ অংশের চারিপাশ ঝিকিমিকি বাদামী সবুজ ।
হঠাৎ তিনি নতুন এক বুদ্ধি আঁটলেন । ৫-৬ চ্যাম্বার বিশিষ্ট এই টমেটোর ভিতরগত দৃশ্যের অঙ্কন-চিত্র ক্যাটালগের কভার পৃষ্ঠায় ছেপে একটি নতুন টমেটো জাতের প্রবর্তন ঘটিয়ে মৃত দাদার কোম্পানীর চাকা ঘুরিয়ে ফেললেন ।তিনি কেবল আনকমন বীজ গুলোই সংগ্রহ করতেন যা সে সময়ে আমেরিকাতেও ছিল না । সে সময়ে নিউ ইয়র্কেরবাজারে টমেটো বলতে কেবল এটাই পাওয়া যেত । অত্যন্ত বিরল উত্তরাধিকার । পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে দক্ষিণ জার্সির এক জনসভার একজন অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে পাওয়া বীজ দ্বারা মি. ওয়াইস ওয়েভার এই জাতটিকে পুনরুজ্জীবিত করেন । তার সংগ্রহ থেকেই জাতটি আমাদের হাতে আসে । এই পোড়ামাটির টমেটোর প্রতিটি বিক্রয়ের একটি শতকরা অংশ ড. ওয়েভারের গবেষণা সহায়তায় যোগ হয় ।