Help line: 01790-181018

TM888. জান্নাতী টমেটো (20)/Topsy-turvy Tomato

ইহা এমন এক টমেটো জাত-যা জান্নাতী স্টাইলেও জন্মে অর্থাৎ শিকড় শীর্ষে তথা ওপরের দিকে আর শাখা-প্রশাখা ফলসহ নীচের দিকে নুইয়ে নাগালের মধ্যে অবস্থানরত । জান্নাত বা বেহেশত আটটি (জান্নাতুল ফিরদাউস-জান্নাতুল মাওয়া-জান্নাতুন নাঈম-জান্নাতে আদন-দারুস সালাম-দারুল মাকাম-দারুল কারার-দারুল খুলদ) যা আখেরাতে ঈমান সহকারে সৎকর্মশীলদের চূড়ান্ত ও স্থায়ী আবাসস্থল । সর্বোপুরি ৮ টি স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে চেরী টমেটোর এই নমুনা জাতটি জান্নাতী কায়দায় সফল ভাবে ফল প্রদানে সক্ষম হয়েছে । দুনিয়া আখেরাতের শস্যক্ষেত্র । দুনিয়াবী কৃষি নকশাই এখন যত বৈচিত্র্যময় ! কেবল অভিজ্ঞ উদ্যানতত্ববিদদের জন্যই সংরক্ষিত এক সময়ের এহেনও চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টা এখন সকলের জন্যই সহজ করে তোলা হয়েছে । প্রাথমিক পর্যায়ে বড় অদ্ভুত মনে হলেও সফল না হওয়া পর্যন্ত এই ভুত যেন আপনার মাথা থেকে না যায়; কারন আপনি যা ভাবছেন ইহা তার চেয়ে সহজ ।
SKU: TM888
50.00৳
Ship to
*
*
Shipping Method
Name
Estimated Delivery
Price
No shipping options




ভুলে যান টমেটো ক্ষেত-বলুন টমেটো বাগান

আপনাকে বলছি-এই যে স্যার/ম্যাডাম

(হইতে)-টমেটো মিউজিয়াম ।

কাজটি কিভাবে কঠিন থেকে সহজ করা হলো? (ঐতিহাসিক সংক্ষিপ্ত উত্তর):

প্রথমে উত্তর আমেরিকা থেকে আনা জাতে কোন কাজই হয় নি । ইউরোপের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাত(F1/Inbred) নিয়ে কয়েক বছর বহুবার ব্যর্থ হতে হয়েছে । ভারতীয় জাত যথেষ্ট আশা দিয়ে ঝুলে রেখে নিরাশ করেছে শেষটায় । পরিশেষে সফলতা আসে থাইল্যান্ড থেকে আনীত বিশেষ এই টমেটো জাত থেকে ।

পদ্ধতিগত জাতের বর্ণনা(পদ্ধতি যেমন তেমন জাতে বাজিমাত):

গাছের বৃদ্ধির ধরন, কান্ডের স্ব-নির্ভরতা ও দৈর্ঘ্য, ডালপালার পরিমান, ফলন ও ফলের ওজন, আলোকদিকমুখিতা, সম্যক ছায়া সহনশীলতা এবং অন্যান্য নানা প্রতিকূলতায় টিকে থাকতে পারা-সব মিলিয়ে ভারসাম্য সম্পন্ন টমেটোর ইহা ডিগবাজি জাত(নমুনায়ে জান্নাত) । যদিও অক্সিন হরমোনের প্রভাবে গাছের কান্ডের শীর্ষকুশি গুলো জাগতিক নিয়মে ওপরের দিকেই ধাবিত হতে চায় আর হওয়াটাও স্বাভাবিক; সেক্ষেত্রে আমাদের গবেষনা তখনই সফল হয়েছে যখন এই জাত তথা গাছ ওপরের দিকে ইউটার্ন নিতে গিয়ে ব্যর্থ বা সফল উভয় ক্ষেত্রেই কম-বেশি ঝোপালো হয়ে স্বাভাবিক ফল প্রদান করেছে । বেচারা গাছ উথালপাথাল বিপদে পড়ে দ্রুত ফুল-ফল দেয় । ফলন কমে না বরং বাড়ে কারণ এতে সেচের পানি সরাসরি যেমন শিকড়ে পৌঁছে তেমনি শিকড় তাপ ও আলোর উৎসের কাছাকাছি থাকে । এতে যেমন বাগানের জায়গা বাঁচে, রোগ-পোকার উপদ্রবও তেমন কম হয় । 

জাতগত পদ্ধতির বর্ণনা(পদ্ধতি যেমন তেমন জাতে বাজিমাত):

মোটামুটি ৪০ দিন বয়সী চারার শিকড় খবরের কাগজ দ্বারা নলাকার করে পেচিয়ে ১০-১৫ লিটার খালি টব বা পাত্রের নীচের ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে মাঝ বরাবর এনে (নীচের শাখা প্রশাখা কেটে গাছের অর্ধেক পাত্রের ভিতর অর্ধেক বাইরে) প্রস্তুতকৃত মাটি বা মিডিয়া দ্বারা ভর্তি করে উপরিভাগে খড়-কুটো বা অন্য উপায়ে মালচিংয়ের (Mulching) ব্যবস্থা করে রৌদ্রময় স্থানে ঝুলিয়ে রেখে ৩ পর্যায়ে সার (তরল/জৈব: ৩য় সপ্তাহের প্রাক্কালে+পরিপূর্ণ ফুল+পরিপক্ক ফল) ও প্রায়শই পানি দিন ।

Write Your Own Review

Only registered users can write reviews